বিমানবন্দরের পাশে উঁচু উঁচু গাছ
অবতরণের সময় ঝাঁকুনির কবলে পড়ে কক্সবাজার-সৈয়দপুরের ফ্লাইটগুলো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পথে উঁচু উঁচু গাছ রয়েছে। এই দুই বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের সময় ফ্লাইটগুলো ঝাঁকুনির কবলে পড়তে হয়। আজ বুধবার রাতে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় বিষয়টি উঠে আসে।
এদিন কক্সবাজারের লং বিচ হোটেলের কোজি রেস্টুরেন্টে 'এভিয়েশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইমপ্যারেটিভস ফর এভিয়েশন সেফটি' শীর্ষক এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে এটিজেএফবির সদস্য এবং এভিয়েশন খাতের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় নভোএয়ারের চিফ অব সেফটি ক্যাপ্টেন আশফাক-উর-রহমান খান বলেন, এই দুই এয়ারপোর্টে ফ্লাইট অবতরণের পথে গাছের কারণে তীব্র বাতাসের সৃষ্টি হয়। বাতাসের কারণে প্লেনে টার্বুলেন্সের (তীব্র ঝাঁকুনি) সৃষ্টি হয়। অনেকে ভাবে এই ঝাঁকুনি পাইলটের কারণে হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে এটা প্রাকৃতিক কারণে হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেবিচককে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি ফ্লাইট সেফটির সঙ্গে রানওয়ের সারফেস (পৃষ্ঠ) সমতল থাকা, উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি ফ্লাইট চলাকালীন কর্মীদের এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সম্পূর্ণ নিয়মগুলো তুলে ধরেন।
ফ্লাইট সেফটির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরের সেফটির বিষয়ে বলতে গেলে বার্ড হিট ও লেজার লাইটের বিষয় চলে আসে। বিভিন্ন সময়েই বার্ড হিটের কথা শোনা যায়। এটি প্রতিরোধে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সাউন্ড গান ব্যবহারসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকাগুলো থেকে পাখির খাওয়ার উৎসস্থল বিভিন্ন কসাইখানা, মাছ চাষ ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকা থেকে পাইলটদের চোখে লেজার লাইট মারার বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের লেজার লাইট মারার ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে।
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন এটিজেএফবির সভাপতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি তানজিম আনোয়ার।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং মেজবাহ-উল ইসলাম। কর্মশালা শেষে উপস্থিত সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির প্রধান প্রতিবেদক বাতেন বিপ্লব। কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করা এটিজেএফবির সদস্যদের ফুল দিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সম্বর্ধনা পেয়েছেন মির্জা মেহেদী তলাম (সভাপতি-বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন), এ কে এম মঈনুদ্দিন (সভাপতি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ), মুজিব মাসুদ (সভাপতি, চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম-ঢাকা), মাইনুল হাসান সোহেল (সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি)।-