যুবলীগ-নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে জামায়াতের তদবির!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
টাঙ্গাইল শহর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানিক বাবু ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইলকে গত সোমবার দিবাগত রাতে শহরের বৈল্যা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর টাঙ্গাইল জেলা ও শহর শাখার নেতা-কর্মীরা তাদের ছাড়িয়ে আনতে সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদের রুমে বসে ছিলেন এবং তদবির করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
থানা অবস্থান করা জামায়াতের নেতারা জানান, তাদের দুজন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। তারা তাদের ছাড়াতে থানায় এসেছেন। অতীতে তারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলেও তারা স্বীকার করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত সময়ে মানিক বাবু ও ইসমাইল দুজনে টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, শহর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান ইমুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এছাড়া মানিক বাবু ২০১৯ সালের টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী যুবলীগের অনুমোদিত আহ্বায়ক কমিটির তালিকায় ২০ নম্বর সদস্য।
টাঙ্গাইল পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, একজন এক দল করতেই পারে। কিন্তু আটক দুজন তাদের দলের সহযোগী কর্মী। অন্য দলের কর্মী হলে আমরা ছাড়াতে থানায় আসব কেন?
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম বলেন, যে দুজন আটক হয়েছে তারা আমাদের কর্মী। তারা এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত। তবে এখন তারা আমাদের দলের কর্মী।
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন আগে আটক দুজন আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। এরপর থেকে তারা আমাদের দলের হয়ে কাজ করছে ও দলের সক্রিয় সদস্য। জুলাই বিপ্লবের সক্রিয় কর্মী হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করেছে।
এদিকে আটক মানিক বাবু নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করেছেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ বলেন, জামায়াতের লোকজন দাবি করছে, আটক দুজন তাদের কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। যাচাইবাছাই শেষে আটক দুজনকে গত বছরের এক মামলায় আাদলতে সোপর্দ করা হয়েছে।