সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাইদুল ইসলাম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্বম্ভপুরের মাছিমপুর সীমান্তের গামাইতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাইদুল ইসলাম উপজেলা গামাইতলা গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় সাইদুল ইসলাম বাংলাদেশি সুপারি নিয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর সীমান্তের গামাইতলা এলাকা দিয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিএসএফ তাঁকে গুলি করে। পরে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে প্রথমে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ড. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নিহতের বুকে ও পেটে দুটি গুলি লেগেছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কি ধরনের বুলেট শরীরে লেগেছে।’

সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন-২৮ বিজিবির অধিনায়ক একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে নাকি ভারতীয় গারোদের গুলিতে নিহত হয়েছেন সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ জন্য মাছিমপুর বিওপি কড়াইগড়া বিএসএফ ক্যাম্পের পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকের পরে জানতে পারব ঘটনা কী ঘটেছে।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের পর এবার উপজেলার বাল্লা সীমান্তের বড়কিয়া এলাকায় জহুর আলী (৫০) নামের এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও সীমান্তের ওপারের ভারতীয় লোকজন তাকে হত্যা করেছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। হত্যার পর ওই ব্যক্তির লাশ ভারতীয় পুলিশ উদ্ধার করে ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেছে।