Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্বামীকে মৃত বানিয়ে হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পিএম

স্বামীকে মৃত বানিয়ে হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বামী আল আমিন নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে মামলা করেছিলেন স্ত্রী কুলসুম। ওই হত্যা মামলায় আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনকে। তবে কুলসুমের স্বামী আল আমিন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হননি। তিনি জীবিত রয়েছেন।

জীবিত ছেলেকে মৃত দেখিয়ে মামলার ঘটনায় আল আমিনের বাবা নুরুল ইসলাম হতবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, এমনটা হওয়ায় আমাদের পুরো পরিবার এখন আতঙ্কিত। ছেলের বউ কুলসুম কেন এমনটি করেছে তা মাথায়ও আসছে না। বিষয়টি নিয়ে কুলসুম কোনো কথাও বলছে না।

পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আশুলিয়া থানায় যে হত্যাযজ্ঞ হয়, সেখানকার একজনের পরিচয় ছিল অজানা। সেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে নিজের স্বামী আল আমিন দাবি করে কুলসুম নামের এক নারী গত ২৪ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। গত ৮ নভেম্বর মামলাটি আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত হয়।

তবে পরবর্তীতে কয়েকটি গণমাধ্যম বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কুলসুমের স্বামী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় অবস্থান করছেন- এমন তথ্যের পর র‌্যাবের সহায়তা চাইলে আল আমিনের খোঁজ পায় র‌্যাব। তার সঙ্গে কথা বলে র‌্যাব নিশ্চিত হয় মামলায় মৃত দেখানো আল-আমিন আন্দোলনে নিহত হননি। তিনি বেঁচে আছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার একটি কক্ষে বাদী কুলসুমের ছবি দেখে আল আমিন নিশ্চিত করেন ছবির মানুষটি মামলার বাদী ও তার স্ত্রী কুলসুম। এরপর জানান একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে এসব জানাজানির পর থেকে কুলসুমের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আল আমিন বলেন, বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনে কথার সূত্র ধরে ভালোবেসে বিয়ে করি কুলসুমকে। ঘরে একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কয়েক মাস ধরে পারিবারিক কলহ বেড়ে যাওয়ায় সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। দেশে গণ্ডগোলের পুরোটা সময় আমি ও আমার স্ত্রী মৌলভীবাজারের জুড়িতে অবস্থান করেছি। সেই সময় আশুলিয়ায় একবারের জন্যও যাইনি। অথচ আমাকে মৃত দেখিয়ে মিথ্যা মামলা করেছে আমার স্ত্রী।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন