উপদেষ্টাদের লাল গোলাপ শুভেচ্ছা দিয়ে বিদায় দিতে চাই: গয়েশ্বর
খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে উপলব্ধি করতে হবে জনগণ কী চায়। রাজনৈতিক দলকে আলাদা আলাদা ভাগ করার দরকার নেই। রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে হবে, তাদের সহযোগিতা নিতে হবে। তা না হলে আপনারা এই মাজা ভাঙা প্রশাসন দিয়ে কিছুই করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা বিদায়বেলায় বর্তমান উপদেষ্টাদের লাল গোলাপ শুভেচ্ছা দিয়ে বিদায় দিতে চাই। অন্য কোনো পথে হোক এটা আমরা আশা করি না।
আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দু-একটা রাজনৈতিক দল জীবনেও ক্ষমতায় আসবে না, আসলেও কারও পিছে পিছে আসতে পারে। তারা মনে করে ক্ষমতায় এসে গেছে। অফিসে আদালতে এখানে সেখানে পোস্টিং-ট্রান্সফার নিয়ে ব্যস্ত।
তিনি বলেন, আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করবো। একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে, এর বেশি আমাদের কোনো কথা নেই। পরিবর্তন আছে, সংস্কার আছে, সব কিছুর সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু একটি নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধানের কোনো কিছু পরিবর্তন করা যায় না।
তিনি কয়েকজনকে ইঙ্গিত করে বলেন, কারো কারো ভাবখানা এমন তারা হাসিনারে তাড়িয়েছে, আর আমরা শেখ হাসিনার পাকা চুলে কলপ লাগিয়েছি। ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল এরাই ধ্বংস করে দেবে। কারণ তাদের রাষ্ট্র চালানোর অভিজ্ঞতা নেই, রাজনীতির অভিজ্ঞতা নেই। তারা আবোল-তাবোল কথা বলে, কটাক্ষ করে আমাদের। আমরা ১৬ বছর কী করেছি- শেখ হাসিনার মাথায় বাতাস করেছি?
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সময় মরা মানুষ ভোট দিয়েছে, কিন্তু জীবিত মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছি, জেল খেটেছি।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলাল। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। বক্তব্যে দেন বিএনপি নেতা ফখরুল আলম, শেখ আবু হোসেন বাবু, চৌধুরী নাজমুল হুদা সাগর প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে র্যালি বের হয়। র্যালিটি রয়্যাল মোড় ঘুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।