বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ৬০ জন মাঝি-মাল্লাসহ চারটি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিহত জেলের নাম ওসমান (৫০)। তিনি টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের কোনা পাড়ার বাছা মিয়ার ছেলে। তিনি পুরোনো রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার নৌ বাহিনীর গুলিতে একজন জেলে নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছি। তবে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী অপহৃত ৪০ থেকে ৫০ জন জেলেকে ট্রলারসহ বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে। তারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের জলসীমার দিকে রওনা হয়েছেন।

ট্রলার মালিক সাইফুল বলেন, গতকাল বুধবার সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এ সময় তাদের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলারসহ সবাইকে আটক করে। 

ট্রলার মালিক সাইফুল আরও বলেন, তবে বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিয়েছে। তবে এখনও ঘাটে এসে পৌঁছায়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলটি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের আওতাধীন। এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবে। 

তবে কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।