মন্ত্রীকে ‘বাবা’ ডাকা সেই অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
প্রতীকী ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগে পদ পেয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীকে ‘বাবা’ ডাকা কলেজ প্রিন্সিপাল মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন।
মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে।
গত ২৬ জুন কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদ পেয়েছিলেন তিনি। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর খোলস পাল্টে ১৩ আগস্ট একটি সাদা কাগজে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে অ্যাড্রেস করে হাতে লেখা পদত্যাগের আবেদনপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। যদিও সভাপতি নিজে ওই তারিখে পলাতক; কিন্তু অবশেষে পদত্যাগের নাটক সাজিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি এই কলেজ অধ্যক্ষের। পরে ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তাকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, মোস্তফা কামাল ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর স্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের ঘনিষ্ঠভাজন। সেই সুবাদে মন্ত্রীর আশীর্বাদে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে ঠাঁই হয় তার। এর আগে তার কোনো রাজনৈতিক পদ-পদবি ছিল না।
জেলা আওয়ামী লীগে পদায়িত হওয়ার পর এই কলেজ অধ্যক্ষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের জন্মদাতা বাবার পর সাংসদ উবায়দুল মোকতাদিরকে কর্মজীবন ও রাজনৈতিক জীবনের ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল তাকে নিয়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন জানান, একটি হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠাব।