রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের এন্তার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
মনিরউদ্দিন আহম্মেদ ওরফে টভেল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের কারুশিল্প ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মনিরউদ্দিন আহম্মেদ ওরফে টভেলের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, অশ্লীল বার্তা ও অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার এসব ঘটনায় তাকে অপসারণ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার এই শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটি।
কারুশিল্প ডিসিপ্লিনের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, রবিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। বিভাগের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ওইদিন বিকালেই অ্যাকাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় ওই শিক্ষককে ক্লাস-পরীক্ষা থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্য বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখভাল করবে।
লিখিত অভিযোগে ৯ জন শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির বর্ণনা দিয়েছেন। এছাড়া ছাত্রীদের মেসেঞ্জারে পাঠানো এই শিক্ষকের বিভিন্ন অশালীন বার্তার স্ক্রিনশট যুক্ত করা হয়েছে অভিযোগে। পাশাপাশি আরও ১৪ জন শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে অপেশাদার আচরণ ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে চারুকলা অনুষদের ১৫০ শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবির পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন।
অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, সহকারী অধ্যাপক মনিরউদ্দীন আহম্মেদ ক্লাস ও ক্লাসের বাইরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এ ছাড়াও অ্যাকাডেমিক পরিসরে অনিয়ম, অপেশাদার আচরণ, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অপমান-অপদস্থ করা, ফেল করানোর হুমকিসহ নানা অপকর্ম ও অত্যাচারে তাদের শিক্ষাজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এজন্য সুষ্ঠু প্রমাণের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে অপসারণ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির বর্ণনায় লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মনিরউদ্দিন আহম্মেদ ক্লাসের সবার সামনে নানা অযুহাতে একাধিক ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করতেন। তাদের অপ্রয়োজনে রাত-বিরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও কল ও যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে বার্তা পাঠাতেন। ছাত্রীদের শারীরিক গঠন নিয়েও অশালীন মন্তব্য করতেন। পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি শিক্ষার্থীদের অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিতেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী অধ্যাপক মনিরউদ্দিন আহম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হয়, তবে তিনি ফোন ধরেননি।