পাবনায় সন্ত্রাসী হামলায় যুবদলের সদস্যসচিব গুরতর আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
পাবনার চাটমোহর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের বর্তমান সদস্যসচিব ফারুক আহমেদ (৩৭) সন্ত্রাসী হামলায় গুরতর আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে মথুরাপুর ছালছাবিল পেট্রোল পাম্পের সামনে তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মথুরাপুর ছালছাবিল পেট্রোল পাম্পের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন ফারুক আহমেদ। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ফারুককে উদ্ধার করে প্রথমে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ফারুকের দুই পায়ে ও পিঠে ক্ষত চিহ্ন আছে। তাকে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাপাতি ও রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুইগ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে আনোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে ৩৫ থেকে ৪০ জনের একটি সশস্ত্র দল রাত দশটার দিকে পেট্রোল পাম্পের সামনে চায়ের দোকানে বসে থাকা ফারুকের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়।
ফারুকের ভাই জানান, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালানোর পর অভিযুক্ত আনোয়ার উপজেলা বিএনপির এক নেতার বাড়িতে আশ্রয় নেন ও নিজেকে বিএনপির কর্মী বলে প্রচারণা চালাতে থাকেন। এ ঘটনা জানার পর ফারুক আহমেদ প্রতিবাদ করেন এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে অবহিত করেন। তিনি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান। যার জের ধরেই আনোয়ার তার দলবল নিয়ে এই হামলা চালায় বলে ফারুকের ভাই দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব এইচ ইসলাম হীরা বলেন, অভিযুক্ত আনোয়ার মেম্বার গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচন করেছেন। ঘটনার দিনই চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তিনি অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ফারুকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। একই সাথে দলের জন্যে নিবেদিত এই ত্যাগী নেতার সুচিকিৎসার জন্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিও অনুরোধ জানান তাঁর স্ত্রী।