গাজী টায়ার্সের পোড়া ভবনে উদ্ধার অভিযান সম্ভব নয়: বুয়েটের প্রতিনিধিদল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার্সের একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ভেতরে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বুয়েটের প্রতিনিধিদল। গাজী টায়ার্সের পোড়া ভবন আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরিদর্শন শেষে বুয়েটের অধ্যাপক রাকিব আহসান এই তথ্য জানান। নারায়ণগঞ্জ জেলার গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীবকে সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডার মেশিন দিয়ে ছাদের ওপরে ও বিভিন্ন ফ্লোর বাহির থেকে পরিদর্শন করেন তিনি।
অধ্যাপক রাকিব আহসান বলেন, ভবনটিতে টানা তিনদিন ধরে থেমে থেমে আগুন জ্বলেছে। ভবনের অনেক দেয়াল এমনকি ফ্লোর ধসে পড়েছে। ছয়, পাঁচ এবং চারতলার ছাদ তিনতলার ওপর এসে পড়েছে। ভবনের বীমগুলো বেঁকে গেছে। এই অবস্থায় ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর ভেতরে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব নয়।
বুয়েটের অধ্যাপক আরও বলেন, ভবনে প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল। আগুন দীর্ঘসময় থাকায় ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও ভেতরে প্রচুর তাপ রয়েছে। আমরা ড্রোন ও মইদিয়ে চেক করে ভেতরে আগুনের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছি। কিন্তু কোনো ডেডবডির সন্ধান পাইনি। তবে এই ভবনের বেইসমেন্টে অভিযান চালানো সম্ভব। সেটা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এই ভবনে দাঁড়িয়ে থাকাটাও ঝুঁকিপূর্ণ। এর ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়াও খুব সতর্কতার সাথে পরিচালনা করতে হবে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের ড্রোন ফুটেজে কোনো মরদেহের সন্ধান পায়নি। বুয়েট প্রতিনিধি দলসহ এক্সপার্টদের মতামত অনুযায়ী ওপরের ফ্লোরে অভিযান চালানো সম্ভব নয়। তবে আমরা ভবনের নিচের বেইসমেন্টে অভিযান চালিয়েছি। সেখানে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভবনের গেটে নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে স্বজনদের ভিড় দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ১৭৩ জনের তালিকা তৈরি হয়েছিল। তবে পরে তা অস্বীকার করে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে শিক্ষার্থীদের একটি তালিকায় উঠে আসে ১২১ জনের নাম। তবে তাদের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই ঘটনায় নিখোঁজ নেই বলে জানিয়েছে গাজী টায়ার্স কর্তৃপক্ষ।