২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে; মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা চলমান ত্রাণ তৎপরতার হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।
অতিরিক্ত সচিব জানান, দেশের সব নদ-নদীর পানি নেমে যাচ্ছে এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কোনো পূর্বাভাস নেই। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যায় ১২ লাখের বেশি পরিবার এবং ১১টি জেলার মোট ৫৮ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কুমিল্লার ১২ জন, ফেনীর ২ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, খাগড়াছড়ির একজন, নোয়াখালীর ৬ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারের ৩ জন রয়েছেন। এছাড়া মৌলভীবাজারে নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন। বন্যায় বাস্তুচ্যুতদের সহায়তার জন্য সরকার ৪ হাজার ৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে এবং ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫১০ জন মানুষ এবং ৩৯ হাজার ৫৩১টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দিয়েছে। এছাড়া দুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে মোট ৬১৯টি মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে এবং বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
কে এম আলী রেজা আরও জানান, চলমান বন্যায় দেশে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় মৃতদের মধ্যে কুমিল্লার ১২ জন, ফেনীর ২, চট্টগ্রামের ৫, খাগড়াছড়ির ১, নোয়াখালীর ৬, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার ১, লক্ষীপুরের ১ ও কক্সবাজারের ৩ জন। মৌলভীবাজারে দুই ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। আর ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৪টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৭৩৪ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সংগ্রহ করা মোট ৮৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (ডিডিএম) মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া বন্যাকবলিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স, মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।