পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ হত্যা
সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাজহাট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এই মামলার আবেদন করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ তাজহাট থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এই মামলায় আসামি পুলিশ সদস্যরা হলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।
এছাড়া এই মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায় ও দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, আবু সাঈদ মারা যাওয়ার পর আমরা ডিসিশনগুলো নিতেই দেরি করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে তাজহাট থানাকে মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এর আগে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায় বাদী হয়ে তাজহাট থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সাঈদ হত্যার ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীসহ দুই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।