গোপালগঞ্জে পোড়ানো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপন নথি!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএসটিইউ) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দাপ্তরিক গোপন নথি পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাসের অনেকেই সন্দেহ করছেন, অর্থ আত্মসাৎ ও নিজের অপকর্ম ঢাকতেই নথি পুড়ানো হয়েছে। গোপন নথি পোড়ানো ওই কর্মকর্তার নাম শেখ মশিকুর রহমান বলে জানা গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ফাঁকা স্থানে নথিগুলো পোড়ানো হয়। এ কাজে সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক কর্মচারী। তবে কতগুলো নথি পোড়ানো হয়েছে তা জানা যায়নি।
সরকারি চাকরি বিধি অনুসারে ন্যূনতম ৫ বছরের নথি সংরক্ষণের নিয়ম থাকলেও কোনো নথি ধ্বংস করতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে হয়। তবে এ কাজে কারও অনুমতির তোয়াক্তা করেননি অর্থ দপ্তরের ওই কর্তাব্যক্তি। এমনকি নথি পোড়ানোর সময় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
পোড়া নথিগুলোর ছবিতে দেখ যায়, সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন টেন্ডার, বিল ভাউচার সংক্রান্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানান, মশিকুর রহমান অর্থের বিনিময়ে বিল পাশ করানো, ভর্তি বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য, কেনাকাটার নামে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত। এমনকি চাকরিতে নিয়োগ কিংবা পদোন্নতিতেও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে।
মশিকুর রহমান গোপালগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হতে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মশিকুর রহমান বাংলা আউটলুককে বলেন, পুরানো কিছু পড়ানো হয়েছে। কারণ এগুলোতে উই পোকা ধরেছিল। 'নথি কেন পুড়াবো? নথি তো আমাকে আরও নিরাপত্তা দিবে।
প্রশ্ন করা হলে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।