সিলেটে হামলার শিকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবাই আওয়ামী লীগ নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, সিলেটে সাধারণ হিন্দুদের ওপর এখন পর্যন্ত কোনো হামলা হয়নি। হিন্দুদের উপাসনালয় ও বাড়িঘরের নিরাপত্তায় পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং করেছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অনেক মন্দির পাহাড়াও দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাহস ও আশ্বাস দিচ্ছেন।
সিলেট জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সিলেটে এখন পর্যন্ত আমার জানামতে, সাধারণ কোনো হিন্দু আক্রান্ত হননি। যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সকলেই আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের অপকর্মের কারণে সব হিন্দুরাই এখন আতঙ্কগ্রস্থ।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর সারাদেশের মতো সিলেটেও দেখা দেয় অরাজকতা। ওই দিনই সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতা-কর্মীর বাড়ি, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হামলা লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
সিলেটে ওই দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বী কয়েকজনের বাসায়ও হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। তবে আক্রান্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবাই আওয়ামী লীগ নেতা। সিলেটে সাধারণ হিন্দুদের ওপর এখন পর্যন্ত কোনো হামলা হয়নি বলে জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ।
এর মধ্যে ৫ আগস্ট বিকেলে নগরের গোপালটিলা এলাকায় সদ্য সাবেক সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রনজিৎ সরকারের বাড়ি, নগরের পাঠানটুলা এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান চন্দ্র সাহার অফিস, নগরের শেখঘাট এলাকায় মহানগর স্বেচ্ছােসেবক দলের সহসভাপতি পিযুষ কান্তি দের বাড়ি ও মির্জাজাঙ্গাল এলাকার অফিস এবং নগরের আখালিয়া এলাকার মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কাউন্সিলর জগদীশ দাশের কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া হিন্দুধর্মাবলম্বী আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার বাসা ও অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা গেছে।
তবে ৫ আগস্ট বিকেল থেকেই সিলেটের বিভিন্ন মন্দিরে হামলার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে গুজবে সিলেটের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হিন্দুদের উপাসনালয় ও বাড়িঘরের নিরাপত্তায় পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং করেছে। অনেক মন্দির পাহাড়াও দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাহস ও আশ্বাস দিচ্ছেন।