থানায় অভিযোগ
বক্তব্য জানতে চাইতেই সাংবাদিকের ওপর মারমুখী কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম
অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ জুন) দুপুরে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ এবং খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সাংবাদিক রাশেদ নিজাম। তবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমান।
খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন তিনি ঘটনাটি জেনে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়েছেন। হামলার বিষয়ে খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এছাড়া, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা রশীদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
সাংবাদিক রাশেদ নিজাম বাংলা আউটলুককে জানান, খুলনার চুকনগরে জেলা পরিষদের একটি মার্কেট নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পান তিনি। যার একটি বড় অংশের সঙ্গে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য ক্যামেরাপার্সনসহ ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান তিনি।
রাশেদ নিজাম আরও জানান, মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি মারমুখী হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ওই কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। হত্যার হুমকির পাশাপাশি ক্যামেরার মেমোরি কার্ড কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন তিনি।
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে আহ্বানও জানানো হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক রাশেদ নিজাম ও তার ক্যামেরাম্যান আসলে তাদের আমার কক্ষে নিয়ে আসি। তিনি কিছু কাগজপত্র নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করছিলেন, আমি উত্তর দিচ্ছিলাম। তখন ক্যামেরাম্যান আমার দিকে ক্যামেরা ঘুরিয়ে দেন। আমি বললাম আমার দিকে ক্যামেরা দিয়েন না, আমি এই অফিসের পঞ্চম গ্রেডের অফিসার। আমার ওপরে আরও চারজন কর্মকর্তা রয়েছেন। চেয়ারম্যানের অনুমতি না নিয়ে আমি টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে পারি না। তখন আমি কাগজটা নিয়ে উল্টে দিয়েছি, বলেছি আপনারা এখন আসেন (যান)। উনি (রাশেদ নিজাম) আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাকে উত্তেজিত করতে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করছিলেন। তখন আমি বললাম ভাই চলেন যাই, আপনি এখানে বসেন না। আপনি চেয়ারম্যানের কাছে যান, চেয়ারম্যান অনুমতি দিলে আমি উত্তর দেব। তখন উনার এবং ক্যামেরাম্যানের হাতটা ধরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।