জুয়া ও নেশার টাকার জন্য খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার রবিউল ইসলাম হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী জেলা পিবিআই। এছাড়া উদ্ধার করেছে ছিনতাইকৃত অটোরিকশা এবং হত্যার ব্যবহৃত চাপাতি। গ্রেপ্তার সাতজন হলেন মো. নাহিদ শেখ (২২), মো. হুমায়ুন (৪০), মো. লিটন খান (৪৫), জুবায়ের হাসান অমি (১৯), শাজিদুল ইসলাম হাসিব (১৯), রাকিবুল (২০) ও জুয়েল (২০)।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নরসিংদী জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।
পিবিআই জানায়, রবিউল হত্যাকাণ্ড ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামি অমি, নিহাল, হাসিবগন একই সাথে চলাফেরা করত। তারা অনলাইনে জুয়া খেলত ও নিয়মিত মাদক সেবন করত। একপর্যায়ে আসামিরা জুয়া ও মাদক সেবনের টাকা যোগাড় করা জন্য রবিউল ইসলামকে হত্যা এবং অটোরিকশাটি ছিনতাই করার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন বেলা ২টার দিকে অমি, নিহাল, হাসিবগন শিবপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে রবিউল ইসলামকে অটোরিকশা নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে শাজিদুল ইসলাম হাসিবের বাড়ির সামনে আসতে বলেন। রবিউল হাসিবের বাড়ির সামনে আসলে অমি, নিহাল, হাসিবসহ আসামিরা অটোরিকশায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিবপুর সাতপাইকায় ১০-১৫ মিনিট আড্ডা দেন তারা। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা রবিউলকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে তাকে পাশের ধান খেতে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। এরপর রাকিব, নাহিদ, জুয়েল ও হুমায়ুন অটোরিকশাটির রং ও মডেল পরিবর্তন ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। অমির স্বীকারোক্তিমতে নাহিদের চাচাতো ভাই বিশালের বাড়ি হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিটি উদ্ধার করা হয়। অপর আসামি নেহালকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।