Logo
Logo
×

সারাদেশ

মেঘালয়-আসামের বৃষ্টির পানি এসে ডুবছে সিলেট

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৬ এএম

মেঘালয়-আসামের বৃষ্টির পানি এসে ডুবছে সিলেট

সিলেটে বন্যার ফাইল ছবি।

ভৌগলিকভাবে ভারতের মেঘালয় ও আসামের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান সিলেট অঞ্চলের। এই দুই রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি হলেই ডুবে যাচ্ছে সিলেট। কারণ এই দুই রাজ্যের পানির বেসিন বা অপসারণের জায়গা হচ্ছে সিলেট। তাই সিলেট বার বার বিপদে পড়ছে। 

মেঘালয় ও আসামের ঢলের পানি মুহূর্তে চলে আসে সিলেট জেলায়। উজানের এই পাহাড়ি ঢল সিলেট বাসীর দুঃখের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। থমকে যাচ্ছে তাদের জীবন। ভোগান্তিতে পড়ছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। গ্রামের পাশাপাশি ডুবছে শহর-নগরও। এতে বছরে ক্ষতি হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। খাবার সংকটে পড়ছে মানুষ।   

চলতি বছর ইতোমধ্যে সিলেটে দুই দফা বন্যা হয়েছে। এবার তৃতীয় দফা বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- এখনো সিলেটের উজানে ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে তীব্র বর্ষণ হচ্ছে। ওই এলাকায় যতই বৃষ্টিপাত হয় ততই শঙ্কা জাগে সিলেটে। এবারো তাই হয়েছে। পরপর তিন দফা বন্যার শেষ দফার পানি কোথায় গিয়ে ঠেকে তা এখনো বলা মুশকিল। আকাশে এখনো মেঘ আছে। এই বৃষ্টি ঝরা শেষ হলেই কেবল বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা যাবে।

এদিকে, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্যা থেকে সিলেটকে উদ্ধার করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। রাতারাতিই পানি চলে আসে সিলেটে। ডুবে যায় সিলেট নগর। এজন্য সিলেটের সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের বসে আগামীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিতে হবে। নতুবা সিলেট বছর বছরই ডুববে। 

তিনি বলেন, এবারের তিন দফা বন্যার কারণে সিলেটের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। এখনো ঢল নামছে সিলেটে। এই ঢল নদী উপচে তীরবর্তী এলাকা কিংবা হাওরে ঢুকছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। 

জানা যায়, সিলেটের এই পাহাড়ি ঢল নিয়ে কোথাও স্বস্তি নেই। ঢলে ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে কানাইঘাট সদর। লোভা ও সারি নদীর পানি বাড়লে কানাইঘাট, বড়হাওর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি বাড়ে। আর এই পানি দু’এক দিনের মধ্যে এসে আঘাত করে সিলেট নগরে। এতে করে নগরের এক তৃতীয়াংশ এলাকাও অচল হয়ে পড়ে। নগরের কালিঘাটের ব্যবসায়ীরা পানি বাড়ায় আতঙ্কে আছেন। দ্বিতীয় দফা বন্যায় তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এবার পানি বাড়লে তারা আরো লোকসানে পড়বেন। 

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মত হলো, সিলেট নগরকে ঢলের পানি থেকে রক্ষা করতে শুধু নগর বাচালেই হবে না। পানি আসে উজান থেকে। এজন্য নগর এলাকা ছাড়াও উজান ও নিম্নাঞ্চলে নদীতে পানি প্রবাহের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সুরমা নদী বেশি পরিমাণ পানি ধারণ করতে পারলে নগরে পানি উঠা কমে যাবে। আর নগর অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে প্রতিটি খালের মুখে সুইচ গেইট বসিয়ে দিতে হবে। নগরের অবৈধ দখলে থাকা ছড়া ও খালকে উদ্ধার করে পানি প্রবাহের পথ সুগম করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সিলেট বাঁচাও, নগর বাঁচাও’ এই শ্লোগানে একটি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে শুধু সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ও জনপ্রতিনিধিরাই নয়, সিলেটের মানুষকেও এতে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বছর বছর বন্যা থেকে নগর ও সিলেটকে বাচাতে কার্যকর উদ্যোগের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

নগরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার নুর আজিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুরমার পানি উপচালেই তলিয়ে যায় নগর। সুরমা পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি নগরে বাঁধ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি ছড়া বা খালের মুখে সুইচ গেইট নির্মাণ করা জরুরি। নগরের পানি পাম্প দিয়ে সুরমাতে ফেলে দেওয়া সম্ভব হবে। এতে করে হঠাৎ ডুবে যাওয়া নগর রক্ষা পাবে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন