Logo
Logo
×

সারাদেশ

কেরুর গুদাম থেকে মদ তৈরির ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট ‘হাওয়া’

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০১:০৫ এএম

কেরুর গুদাম থেকে মদ তৈরির ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট ‘হাওয়া’

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চিনিকলের কেরু অ্যান্ড কোম্পানির গুদামে মদ তৈরির ১৩ হাজার লিটার ডিএস স্পিরিটের হিসাব মিলছে না। এ ঘটনায় বুধবার চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। 

ডিএস স্পিরিট মদ তৈরির কাঁচামাল। ১৩ হাজার লিটারের আনুমানিক মূল্য ৩০ লাখ টাকা। কেরুর ডিস্টিলারি বিভাগের বন্ডেট ওয়্যারহাউসের সহকারী ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার সময় ডি/এস গোডাউন, ডিএস স্পিরিটের ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউন সরেজমিন গভীরতা ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত রয়েছে ৩৫ হাজার ৫১২ দশমিক ২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয়েছে ৩৯ হাজার ৭১১ দশমিক ৫৫ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিন গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত রয়েছে ৪ হাজার ৮০৪ দশমিক ৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয়েছে ১৩ হাজার ৭৯৫ দশমিক ৭৩ লিটার। এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি মালামাল কম আছে।’

তিন গোডাউনে বাস্তবিক মজুত অনুযায়ী ১৩ হাজার ১৯০ দশমিক ৭৫ লিটারের বেশি মাল কম থাকায় জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, হিসাবের গরমিল থাকায় গত ২ মে দর্শনা কেরু  অ্যান্ড কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। বিষয়টি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়।

চিনিকলের ডিস্টিলারি বিভাগের বন্ডেড ওয়্যারহাউজের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত এ কে এম সাজেদুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন উল্টাপাল্টা কথা বলছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। বড় হাউজে দুই-একশ লিটার কম থাকতেই পারে।

চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, চিনিকলের জিএমকে (প্রশাসন) প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। 

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন