তিস্তা, যমুনা, ধরলার পানি বিপৎসীমার উপরে, চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। চর, চর ও নিম্ন এলাকার অন্তত ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জেও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলের পাশাপাশি তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলায় ৪৫৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭১ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৯ মিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আরও চারদিন যমুনায় পানি বাড়বে। এতে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ছোট থেকে মাঝারি আকারের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।