৯ দিন পর সেন্টমার্টিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীবাহী জাহাজ ভিড়েছে। তবে দুরবস্থা কাটেনি দ্বীপের বাসিন্দাদের। অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই পণ্য পাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সেন্টমার্টিনবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও স্থানীয় ফার্মেসি মালিক তকিসমান খোকার বলেন, ‘গতরাতে এমভি বারো আউলিয়া সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে পৌঁছার পর সরকারি বরাদ্দের চাল ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। আর দ্বীপের ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেসব পণ্যসামগ্রী এনেছেন, সেগুলো তারা নিজেদের দোকানে নিয়ে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখি মানুষের অনেক ভিড়। সেখানে অন্য কোনো নিত্যপণ্য নয়। শুধু চাল বিতরণ করা হচ্ছে। যারা চাল পেয়েছেন, তারা বলছে, শুধু সরকারি কার্ডধারী ব্যক্তিদেরই চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কার্ড ছাড়া কেউ চাল পাচ্ছেন না।
তকিসমান খোকা বলেন, ‘দোকানে এখন পণ্য আছে। তবে দাম আকাশছোঁয়া। এক সপ্তাহ আগে ২৫ টাকায় দুটি ডিম পাওয়া যাচ্ছিল। তবে এখন একটি ডিমের দামই ২০ টাকা। আগে এক কেজি বেগুন ছিল ৬০-৭০ টাকা। এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।’
স্বানীয়রা বলছেন, ‘জেলেদের অবস্থা খুবই দুর্বিষহ। একদিকে সাগরে তাদের মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। অপরদিকে তারা মিয়ানমারের গুলির ভয়ে সাগরে মাছ ধরতে নামতে পারছেন না। তাদের কোনো আয়-রোজ নেই। এই ৬৫ দিন জেলেরা কীভাবে পার করবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই রুটে চলাচলকারী একাধিক ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়। নাফ নদীর মোহনায় এই ঘটনাগুলো ঘটে। এরপর থেকে সেন্টমার্টিনের পথে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি।
সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশি স্পিডবোট লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নাকি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
এসব ঘটনার ৯ দিন পর গতরাত সোয়া ১১টার দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীবাহী জাহাজ এমভি বারো আউলিয়া সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে পৌঁছায়।