কোটা সুবিধা পেতে মুক্তিযোদ্ধার নাতনি বিয়ে করতে চান চবি শিক্ষার্থী
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০১:০৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত
কোটা বিরোধী এক ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী। তার নাম সৈয়ব আহমেদ সিয়াম।
তিনি সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আর এই কর্মসূচি পালনে গিয়েই তিনি প্লেকার্ডে ব্যাঙ্গাত্মক সব স্লোগান লিখেন। প্লেকার্ডে তিনি লিখেন ‘শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবিতে মানববন্ধন’।
আজ শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে দাঁড়িয়ে তাকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। এ সময় তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা—উভয় ক্ষেত্রে শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোটার পক্ষে হলেও আমার দাদা-নানা কেউই যুদ্ধ করেননি। এ ব্যাপারে আমি অনুতপ্ত। সম্ভব হলে তাদের কবর থেকে তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতাম। এখন আমার অনুতাপ মেটাতে এবং ছেলেমেয়ের জন্য কোটা নিশ্চিত করতে চারজন মুক্তিযোদ্ধার নাতনিকে বিয়ে করতে চাই।’
কোটাবিহীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জন্মের পূর্বেই ভ্রূণের ক্ল্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোটাধারীরা হবেন ব্রাহ্মণ। তারাই শুধু পড়াশোনা ও উচ্চপদে চাকরির সুযোগ পাবে। কোটা সমর্থনকারীরা হবে ক্ষত্রীয় ও বৈশ্য। তারা ভার্সিটিতে মুড়ি বিক্রির লাইসেন্স পাবেন।’
সিয়াম আরও বলেন, ‘আমি তিন দফা দাবি নিয়ে একক মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমার দাবিগুলো হলো- প্রথমত, শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, জন্মের পূর্বেই ভ্রূণের ক্ল্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তৃতীয়ত, আমার সঙ্গে চারজন মুক্তিযোদ্ধার নাতনিকে বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’
সবাই যেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছে সেখানে সিয়াম শতভাগ কোটার পক্ষে কেন দাঁড়াচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিয়াম বলেন, ‘আমার দাবি আপনাদের কাছে তামাশা মনে হলে রাষ্ট্রও আমাদের সঙ্গে আরও বড় তামাশা করছে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ও হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। যেদিন কোটাধারীরা নিজেরাই একযোগে কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, সেই দিন যদি না আসে তাহলে শতভাগ কোটার রাজত্ব কায়েম করে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি।’