ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় ৭ জনের প্রাণহানি
বাংলা আউটলুক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। রোববার (২৬ মে) থেকে সোমবার (২৭ মে) সকাল পর্যন্ত এসব মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরাবরের মতোই দেশের উপকূলীয় এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। দুর্বল বাঁধের কারণে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানে উপকূলে। পটুয়াখালীতে উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে একজন এবং সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে একজনের প্রাণ যায়। মোংলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ রয়েছে শিশুসহ দুইজন। এছাড়া বরিশাল, ভোলা ও চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রাণ হারান ৫ জন।
এদিকে, সোমবার (২৬ মে) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ (১৯) ও শেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শক্তি হারিয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল স্থল গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়িয়ে তা স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। পাশাপাশি বন্দরগুলোকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, খুলনার কয়রায় অবস্থান করা প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে স্থল নিন্নচাপে পরিণত হবে।
এ কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নন্বর স্থানীয় সতর্ক দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এর আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি রোববার রাত ৮টার দিকে উপকূলে আঘাত হানে।