ছবি: সংগৃহীত
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে খেপুপাড়া, পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এর প্রভাবে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহ পরীর দ্বীপের চারপাশে সাগরের পানির উচ্চতা আগের তুলনায় ৪-৫ ফুট বেড়েছে। ফলে কোনো প্রকার বাঁধ না থাকায় দ্বীপ দুটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে যেতে সেন্টমার্টিন ও শাহ পরীর দ্বীপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গনি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এদিকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাঁধ না থাকায় কিছু এলাকায় জোয়ারের পানিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে দ্বীপে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের গতির তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমরা দ্বীপের লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে যেতে মাইকিং করছি। কিন্তু এখনো কোনো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যায়নি।’
সাবরাং ইউপির সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নাফ নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শাহ পরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার কিছু ঘরবাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে যে ঘর-বাড়ি রয়েছে এগুলো রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ দেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, ওসি ওসমান গনি বলেন, ‘পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ এবং কক্সবাজারকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার পরপরই টেকনাফ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ টেকনাফ, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া, হোয়াইক্যং ও হ্নীলায় মাইকিং করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় যেতে বলা হচ্ছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হয়। দ্বীপের বাসিন্দাদের হাসপাতালসহ হোটেল-মোটেল ও আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং চলছে। সাগরের মাঝখানে হওয়ায় আমরা প্রবাল দ্বীপকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। দ্বীপসহ উপকূল ইউনিয়নে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার-পানি মজুত রাখার পাশাপাশি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।’