গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে মমতাজ বেগম নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাকে উদ্ধারে লিফটম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেছে রোগীর স্বজনেরা। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ওই রোগীকে উদ্ধার করে। আজ রবিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
৫০ বছর বয়সী মমতাজ বেগম গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী
মমতাজের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, 'আমার মামি শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে হাসপাতালের ১১তলায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে চতুর্থ তলায় কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন।
তিনি আরো বলেন, পরে মামিকে হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। আমরা হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে উঠেছিলাম। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লিফট হাসপাতালের নবম ও দশম তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে বার বার ফোন করায় তারা বিরক্ত হয়ে আমাদের গালিগালিজ করেন।
শাহদত হোসেন বলেন, এক পর্যায়ে মামি ছটফট শুরু করেন। পরে আবার অপারেটরদের এবং জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ এ ফোন করি। আটক থাকার ৪৫ মিনিট পর কয়েকজন অপারেটর এসে দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যান। এ সময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসি। তবে মামিকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে মামিকে মৃত্যু অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসনিন জাহান জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।