Logo
Logo
×

সারাদেশ

এমপির শ্যালকের নগদ টাকা বেড়েছে ১০৪৩১ গুণ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

এমপির শ্যালকের নগদ টাকা বেড়েছে ১০৪৩১ গুণ

বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর পাঁচ বছর আগে আয় ছিল ২ লাখ টাকা। গত পাঁচ বছরে সেটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকায়। সেই হিসেবে গত পাঁচ বছরে তাঁর আয় বেড়েছে ১২২ গুণ। আর উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর রিজুর নগদ টাকা বেড়েছ ১০ হাজার ৪৩১ গুণ। 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য জমা দেওয়া হলফনামা এবং ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

ফিরোজ আহম্মেদ রিজু বগুড়া-২ আসনের আসনের সংসদ সংসদ ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর শ্যালক। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রিজু নিজে চেয়ারম্যান আর স্থানীয় সংসদ সদস্যের শ্যালক হওয়ার সুযোগে তাঁর ব্যবসার পরিধির এবং সম্পদ বাড়িয়েছেন। 

জানা গেছে, ফিরোজ আহম্মেদ রিজু মেসার্স ফিরোজ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ২০১৯ সালে তিনি সেই ব্যবসা থেকে বছরে আয় করতেন ২ লাখ টাকা। তবে চেয়ারম্যান হওয়ার পর গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাঁর আয় বেড়ে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। 

এদিকে তিনি বাড়ি ভাড়া থেকে ৪৫ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ কোটি ৪০ হাজার ৬০ হাজার টাকা এবং সম্মানী ভাতা থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় করেন। গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে নগদ টাকা বেড়েছে ১০ হাজার গুণ। আর প্রায় ২০ গুণ বেড়েছে রিজুর অস্থাবর সম্পদ।

২০১৯ সালে তাঁর হাতে নগদ টকা ছিল ১৩ হাজার ৮৬৪ টাকা। এখন তাঁর হাতে নগদ টাকা রয়েছে ১৪ কোটি ৪৬ লাখ ১৯ হাজার ২৮৯ টাকা। গত পাঁচ বছর আগে ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা জমা দেখালেও এবার তিনি ব্যাংকে টাকা জমা রাখার পরিমাণ উল্লেখ করেননি। এছাড়া তাঁর ১৫ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেট কার, দুই ভরি সোনা এবং ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র আছে। এগুলো তিনি গত ২০১৯ সালের হলফনামাতেও উল্লেখ করেছিলেন। 

এমপির শ্যালক রিজুর ২০১৯ সালে ৩০ লাখ টাকা দামের একটি দালান ছিল। এবারের হলফনামায় তিনি ওই দালানের পাশাপাশি ৪ শতক অকৃষি জমির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে এই জমির কত মূল্য তা তিনি উল্লেখ করেননি। 

তবে ২০১৯ সালে বগুড়ার সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে তাঁর সিসি লোন ছিল ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। তবে এবারের হলফনামায় একই ব্যাংকে তিনি ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫ টাকা ঋণ দেখিয়েছেন। সেই হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর রিজুর ব্যাংক ঋণের পরিমাণ তিনগুণ বেড়েছে।  

এদিকে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে এমপির শ্যালক রিজুর পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপির ছেলে হুসাইন শরীফ সঞ্চয় ও শাশুড়ি মোছা. ফাতেমা বেগম।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন