Logo
Logo
×

বিশ্লেষণ

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৬ এএম

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা

Mdbhfv সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন ক্ষমতায় থাকবে এই নিয়ে আলোচনা চলছে সারা দেশে। কিন্তু কারও কোনো সুনির্দিষ্ট ধারণা নেই। সংবিধান বা আইনে এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কিছু  বলা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করার জন্য যতদিন থাকার দরকার হবে, অন্তর্বর্তী সরকার ততদিন ক্ষমতায় থাকবে।’

অন্য উপদেষ্টারাও মেয়াদ নিয়ে কিছু বলেননি।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। এ ধরনের সরকার কাঠামো সংবিধানের কোথাও নেই, যে কারণে তাদের মেয়াদের কথা কোথাও বলা নেই।’

আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন ওনাদের মনে হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি হয়েছে তখন ওনারা নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন। তার আগে এ সরকারের মেয়াদ নিয়ে কোনো ধারণা পাওয়া যাবে না।’

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন এ সরকারে কয়েকজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়াও নতুন অনেক মুখ রয়েছেন। আছে ছাত্র প্রতিনিধি। যে কারণে এ সরকারকে কাজ দেখে মূল্যায়নের কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চেয়েছিলেন।

সেদিনই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

সংবিধানের ১২৩ (৩) (খ) ধারা অনুযায়ী, মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদ ভাঙলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

১২৩-এর ৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো দৈবদুর্বিপাকে ভোট করা না গেলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি হতে পারে এমন জায়গা থেকে সংবিধানের মধ্যে থাকা হয়তো উচিত ছিল। এমন কিছু না থাকায় এই সরকারের মেয়াদ নিয়ে কিছু বলা হয়নি।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সব ক্ষেত্রে সংস্কারের দায়িত্ব ছিল রাজনৈতিক নেতাদের। কিন্তু সেটি না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন মেয়াদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত সংস্কারে। সংস্কার করতে যত সময় লাগবে সেটা তারা করবেন। সেই সময় তারা নেবেন।’

এদিকে বিএনপি নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে।

গত বুধবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।

এছাড়া নাগরিক ঐক্য, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করা হয়েছে।

তখনই প্রশ্ন উঠেছে, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কিনা অন্তর্বর্তী সরকার। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে কতদিন সময় নেবেন।

শনিবার সচিবালয়ে প্রথম অফিস করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, ‘সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা মানুষের আছে। সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন নির্বাচনের আকাঙ্খার মধ্যে সমন্বয় করে যতদিন থাকা দরকার ততদিন আমরা থাকব। বেশিও না কমও না। যে দায়িত্বের জন্য আমরা আসছি, সেগুলো পালনের চেষ্টা করব।’

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন